সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের স্মারকলিপি
জেলা শহরের কাছাকাছি সুবিপ্রবি ক্যাম্পাসের দাবি
- আপলোড সময় : ০৬-০১-২০২৫ ০৪:২৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৬-০১-২০২৫ ০৯:০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) ক্যাম্পাস সুনামগঞ্জ জেলা শহরের কাছাকাছি নির্মাণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দের পক্ষ থেকে রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ জেলা শহরকে পাশ কাটিয়ে তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জেলার অন্যতম বৃহৎ দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যা¤পাসের স্থান নির্ধারণ করেন। জায়গার সম্ভাব্যতা যাচাইও শেষ হয়ে গেছে। দেখার হাওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় স্থাপনা বা ক্যা¤পাস হলে হাওরের বোরো জমির আবাদ নষ্ট হবে। জলজপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যও হুমকির মধ্যে পড়বে। তাই শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের স্থান পরিবর্তন করে সুনামগঞ্জ শহরের কাছাকাছি জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন আহমদ সোহেল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলী, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আকবর আলী, রেজাউল হক, অ্যাড. মাসুক আলম, অ্যাড. আব্দুল হক, অ্যাড. জিয়াউর রহিম শাহীন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল, আ.ত.ম মিসবাহ, অ্যাড. শামস উদ্দিন, অ্যাড. রুহুল তুহিন, অ্যাড. এনাম আহমদ, সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি একেএম আবু নাছার, অ্যাড. মহসিন রেজা মানিক, জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম স¤পাদক মুনাজ্জির হোসেন সুজন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমনদ্দোজা প্রমুখ। স্মারকলিপি প্রদানের তথ্য নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী বলেন, তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান তার প্রভাব দেখিয়ে শহরের অদূরে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যা¤পাসের জন্য স্থান নির্ধারণ করেন। জেলা শহরের সরকারি খাস জমি থাকার পরও শহরকে উন্নয়নবঞ্চিত করে অনেক মেগা প্রকল্প বাগিয়ে নেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের বিষয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। আমরা মনে করি জেলার একটি প্রধান পীঠ শহরের আশেপাশে হোক। ক্যা¤পাসের জন্য যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি পরিবর্তন করে শহরে অদূরে নির্ধারণ করা হোক। এক্ষেত্রে সরকারকে সকল ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা শহরবাসী প্রস্তুত রয়েছি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর একনেকের বৈঠকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। আইন পাস হওয়ার পর শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি অস্থায়ী ভবনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় সদর উপজেলা অংশে স্থায়ী জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ নিয়ে সুধীমহল ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি এবং পক্ষে-বিপক্ষে মতামত। বর্তমানে ৪টি বিষয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ শত ১৮জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ